ছবি, দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পী প্রতারণার দায়ে জেলহাজতে ।
কামাল হোসেন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পীকে চেক প্রতারণা মামলায় হাজিরা দিতে গেলে সেখানেই জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গত রোববার ময়মনসিংহ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত জামিন না মন্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পি ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মুক্তাগাছা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২০১৪ সালে উপজেলার সৈয়দগ্রাম গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র রফিকুল ইসলামের (৫৪) কাছ থেকে তার পুত্র সুজন মিয়াকে রাজউকে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি দেয়ার কথা বলে সাত লাখ টাকা সাবস্থ্য করে তিন লাখ টাকা নেন।
পরবর্তীতে চাকরি না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন বাপ্পী। এ বিষয়ে একাধিকবার শালিসও হয়। শালিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১৫/১০/২০১৯ তারিখ বাদী রফিকুলকে দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পি অগ্রণী ব্যাংক মুক্তাগাছা শাখায় তার নিজ নামের সঞ্চয় হিসাব নং- ০২০০০০৪৪৭৭০৫৬ এর অনুকূলে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।
উক্ত চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা না থাকায় চেক ডিজওনার হয়। পরবর্তীতে রফিকুল দেবাশীষের কাছে টাকা চাইলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালসহ বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান করেন।
অবশেষে গত শনিবার রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পিকে একমাত্র আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রোববার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয়সূত্র খবরের সময় ডট কম কে জানান, বিগত পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়ায় দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পিকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয় । এছাড়াও রফিকুল ইসলামের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন , বহুলোকের নিকট থেকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে । তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায় ।